জাহানারা হোমিও হল • শিশু ও গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার • বন্ধাত্ব চিকিৎসা • ডায়াবেটিক • ক্যান্সার • শিশুদের ঠান্ডা গরমে বিভিন্ন সমস্যা • এখানে সকল প্রকার রোগ কম্পিউটারে নির্ণায়ের মাধ্যমে ঔষধ দেওয়া হয় #

জ্বর ও হোমিওপ্যাথি


হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা এখন সারাবিশ্বে মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় একটি নিরাপদ চিকিৎসা হিসেবে গ্রহণীয় হয়ে উঠেছে। বিশ্বের ৬৬টি দেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসা গ্রহণের কারণে মানদেহে জটিল রোগ দেখা দিচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় খারাপ প্রতিক্রিয়া কম। যান্ত্রিক এই সভ্যতার যুগে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে মানুষের মানুষিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এই নষ্ট মানসিকতার প্রতিবিধান রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে। সমাজে চোর, ডাকাত, খুনি, গুণ্ডা, লোভী ও স্বার্থপর ইত্যাদি আচরণের কারণে তাদের পরিচয় ফুটে উঠে। কিন্তু প্রত্যেকের পরিচয় এর কারণ- মানসিক রোগী ছাড়া আর কিছুই নয়। তাদের বিকৃত মানসিকতার পরিবর্তন করে দিতে পারে হোমিওপ্যাথি। দূরারোগ্য রোগীর চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি নিরাপদ চিকিৎসা ব্যবস্থা ।

শিশুদের ছোটবেলা থেকে হোমিও চিকিৎসা করালে তাদের বংশগত বা জিনগত নানা প্রকার মানসিক ও দৈহিক সমস্যা দূর হয়ে যায়। মহিলাদের গর্ভাবস্থায় সন্তান নষ্ট হয়ে যাওয়া অথবা সন্তান প্রসবকালে যাদের বাধা আসে তাদের চিকিৎসা করে মুক্ত করা যায়। গ্যাস্ট্রিক, আলসার, ডিউডেনাল আলসার, টিউমার, অর্শ, টনসিল, কিডনি পাথর, পলিপাসসহ বিভিন্ন রোগীর ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি পারে সার্জনের ছুরির হাত থেকে বাঁচাতে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় রোগের নয় রোগীর চিকিৎসা করা হয়। তাই সুস্থ নাগরিক ও বিশ্ব স্বাস্থ্যসেবায় হোমিওপ্যাথি সারাবিশ্বে সফলতার সাথে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সেবা সকলের মধ্যে বিলিয়ে দেয়ার জন্য লক্ষণ অনুসারে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবায় হোমিওপ্যাথি, ওষুধ সেবন, মাত্রা উল্লেখসহ ছোট পরিসরে প্রতিবেদনটি দেওয়া হলো, যা দেশবাসীর উপকারে কাজে লাগবে বলে মনে করছি।
* আঘাতে প্রথম অবস্থায়- আর্ণিকা ছয় (বাহ্যিক ব্যবহার) ৩০,২০০ (সেবন)। আঘাতের সাথে কালো দাগ থাকলে আর্ণিকা, লিডাম ৩০,২০০।
* আঘাত লেগে কেটে যাওয়া- ক্যালেন্ডুলা ছয় (বাহ্যিক ব্যবহার) ৩০ সেবন।
* পেরেক, লোহার তারকাটা ফুটলে– লিডাম পল ৩০,২০০ ।
* সুচ ফুটে যাওয়া– হাইপেরিকাম ২০০।
* শিশুদের বমি– ইপিকাক ৩০,২০০।
* শিশুদের দুধ খেলেই বমি– ইথুজা ৩০,২০০।
* নাক দিয়ে হঠাৎ রক্ত, স্রাব– মিলিফোলিয়াম ৩০। 
* হঠাৎ জ্বর, কারণ জানা নেই– একোনইট ৩০। জ্বরের প্রথম অবস্থা বেলেডোনা ৩০ ।
* হঠাৎ করে শিশুদের পেট ব্যথা– ক্যামমিলা ৩০ ।
* ট্রেনে বা বাসের ধারে বসার কারনে ঠাণ্ডা লাগা– একোনাইট ৩০, হিপার ৩০।
* তেল জাতীয় খাবার খেয়ে পেট খারাপ– পালসেটিলা ৩০ ।
* মাংস খেয়ে পেটের গোলমাল– নাক্স ভোমিকা ৩০ ।
* হঠাৎ মানসিক উত্তেজনা– ইগ্নেসিয়া ৩০,২০০ ।
* হঠাৎ ভয় পাওয়া, আক্ষেপ, একোনাইট ৬ ।
* কাজ করতে করতে হঠাৎ পায়ে হাতে খিল ধরা– ম্যাগফস ৩০।
* স্তনে আঘাত– কনিয়াম ২০০ ।
* দাঁত তোলার পর রক্ত স্রাব হেমামেলিস Q ৩০ ।
* ধোয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট- আর্ণিকা ৩০, বোভিস্টা ২০০ ।
* জুতা পরার কারণে ফোস্কা পরলে– এলিয়ামসেপা ৩০ ।
* মশা, বোলতা ও কীটপতঙ্গ কামড় দিলে– লিডাম ৩০, এনথ্রাক্স ৩০।
* গলায় মাছের কাটা ফুটলে– এনাগেলিস ৩০, সাইলেসিয়া ৩০।
* মহিলাদের দেরিতে মাসিক, মাসিক বন্ধ, অল্প পরিমাণ মাসিক হওয়া– এমিল নাইট্রেট ৩০ ।
* মাসিকের সময় কোমরে ব্যথাসহ চাপ চাপ রক্তস্রাব– স্যাবাইনা ২০০।
* মাসিকের রক্তস্রাব অল্পমাত্রায় হয়, কিন্তু অধিক সময় স্থায়ী হয়– এব্রোমা আগস্টা ছয়। অনিয়মিত মাসিক– জনোসিয়া অশোকা ছয়। ডিমের সাদা অংশের মতো সাদাস্রাব– বোরাক্স ৩০। সাদাস্রাব ঘন, ক্রিমের মতো ঘন– পালসেটিলা ৩০।
* জোনিদারে অসম্ভব চুলকানি– ফ্যাগোপাইরাম ৩০।
* অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ– চায়না ৩০। লম্বা যুবকের নিয়মিত স্বপ্নদোষ– এ্যাসিডফস ২০০।
* লিঙ্গের দুর্বলতা, ধজভঙ্গ, উত্তেজনা কম– টার্নেরা ছয়।
ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে খাবার গ্রহণে ৩০ মিনিট আগে পরে গ্রহণ করা ভাল। এছাড়া ওষুধ সেবনের সময় পেঁয়াজ, রসুন, টক, চুন, চা, বিড়ি-সিগারেট, সোডা ও মদ খাওয়া বর্জন করতে হবে। এছাড়া কোনো ওষুধ অধিক মাত্রায় ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। অধিক মাত্রায় ওষুধ সেবন করলে নতুন কোনো রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
যাদের উক্ত লক্ষণের সঙ্গে প্রথমিকভাবে লক্ষণ মিলবে তারা স্বল্প পরিমাণ ওষুধ সেবন করে আরোগ্য লাভ করতে পারবেন। এছাড়া পুরাতন, জটিল ও কঠিন রোগীদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা দরকার।
আধুনিক যুগে হোমিওপ্যাথি এখন রড় লোকের অশ্রয় আর গরিবের সাশ্রয়মূলক জনপ্রিয় চিকিৎসায় পরিণত হয়েছে। এই চিকিৎসা সেবা সকলে গ্রহণ করুন এবং সুস্থ থাকুন। সুস্থ মানুষ ও দেশ গঠনে সবাই এগিয়ে আসুন- এই কামনা করছি।
লেখক
ডি.এইচ.এম.এস (ঢাকা), এফ ডব্লিউ টি (ভারত)
সাধারণ সম্পাদক : বাংলাদেশ ডি.এইচ.এম.এস চিকিৎসক সমিতি
সিনিয়র জযেন্ট সেক্রেটারি ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব হোমিওপ্যাথি
জননী হোমিও হল, ১নং ওয়াল্টার রোড, ফরাসগঞ্জ, সূত্রাপুর (সূত্রাপুর থানার পাশে) ঢাকা।