জাহানারা হোমিও হল • শিশু ও গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার • বন্ধাত্ব চিকিৎসা • ডায়াবেটিক • ক্যান্সার • শিশুদের ঠান্ডা গরমে বিভিন্ন সমস্যা • এখানে সকল প্রকার রোগ কম্পিউটারে নির্ণায়ের মাধ্যমে ঔষধ দেওয়া হয় #

চিকিত্সা বিজ্ঞানের প্রতিবন্ধকতা দুরীকরণে হোমিও

ইমিউনোলজি হচ্ছে আধুনিক চিকিত্সা বিজ্ঞানের একটি শাখা। ইমিউনোলজি বিজ্ঞানের অন্যতম সফল আবিষ্কার হচ্ছে টিকাদান পদ্ধতি যা ১০০% সফল বলে স্বীকৃত এবং প্রমাণিত । এই বিজ্ঞানের মতে মানুষের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিষ্টেমের শক্তি বৃদ্ধিকরণই হচ্ছে দেহের রোগমুক্ত থাকার সঠিক এবং স্থায়ী পথ। এই প্রক্রিয়ার নাম হচ্ছে ইমিউনোপোটেনসিয়েশন বা ইমিউনোমডুলেশন। ক্যান্সার গবেষণার ফলে ইমিউনোলজি বিজ্ঞান ব্যাপক উন্নতি লাভ করেছে।
দেহের রোগগ্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিষ্টেমকে সঠিক ভাবে পরিচালিত করে দেহে বিদ্যমান রোগ উত্পাদনকারী বিষ বা এ্যান্টিজেন সমূহকে শ্বেতকণিকার সাহায্যে ধ্বংস করানোর জন্য বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন ইন্টারফেরন এবং ইন্টারলিউকিন নামক উপাদান যাকে এক কথায় সাইটোকাইন নামে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। এই আবিস্কার চিকিত্সা বিজ্ঞানীদিগকে রোগ নিরাময়ের বিষয়ে অত্যন্ত আশাবাদী করে তুলেছিল। কিন্তু কার্যতঃ এই প্রচেষ্টা আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ায় মানবজাতি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। যার সংবাদ সাধারণ মানুষ জানেন না।
টিকার মত ১০০ % সফল একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত পদ্ধতিকে সর্বপ্রকার রোগের বেলায় কার্যকর করার পদ্ধতি সফল হলে চিকিত্সা বিজ্ঞান মানবজাতির জন্য একটি রোগমুক্ত বিশ্ব উপহার দিতে পারতো। ডায়াবেটিস, যক্ষ্মা, ক্যান্সার, এইডসের মত ক্রমবর্ধমান রোগের প্রকৃত কারণকে বিজ্ঞানের ভাষায় ইমিউনোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার বিশৃঙ্খলা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে, যার প্রকৃত আরোগ্যপদ্ধতি বিজ্ঞানীদের নাগালের মধ্যে এসেও কতিপয় কারণের জন্য হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় বিজ্ঞানীরা বাধ্য হয়েছেন মানব জাতিকে আরোগ্য অসম্ভব বা ইনকিউরেবল রোগের তীব্রতা থেকে বাঁচানোর জন্য সাময়িক উপশম বা প্যালিয়েশন এবং অবদমন বা ইমিউনোসাপ্রেশন এর পথ অবলম্বন করতে। আযূর্বেদ , ইউনানী এবং হোমিওপ্যাথির মত প্রাকৃতির চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা মানবজাতি তথা এ্যালোপ্যাথি বিজ্ঞানের এই দুর্দিনে নীরব দর্শকের ভূমিকা অবলম্বন করে বসে আছেন, কেবলমাত্র তাদের প্রযুক্তিগত দুর্বলতার কারণে। অথচ ঐ সকল প্রাকৃতিক চিকিত্সা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ভেষজ সমূহের ভিতর এমন কতগুলো উপাদান রয়েছে যা এ্যালোপ্যাথি বিজ্ঞানের ইমিউনোমডুলেশনের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারে ইন্টারফেরণ ও ইন্টারলিউকিনের মত সাইটোকাইনের দ্বারা সৃষ্ট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না করে। দেহের বাইরে কৃত্রিমভাবে তৈরী সাইটোকাইনের ব্যবহারের চাইতে ভেষজের সাহায্যে উত্তেজিত করে ইমিউনোষ্টিমুলেশন প্রক্রিয়ার সাহায্যে শ্বেতকণিকা বা ইমিউন সিষ্টেমের নিজ উদ্যোগে পরিমাণ মত সাইটোকাইন তৈরী করানোর পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়েই সম্ভবতঃ এতদিন মানুষ কুষ্ঠ, হাপানি, ডায়াবেটিস, সোরায়সিস, ইত্যাদি অটোইমিউনিটি, ইমিউন ডিফিশিয়েন্সি এবং ইমিউন কমপ্লেক্স রিএ্যাকশন জনিত রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারছিল যার পিছনে নিহিত ভেষজের সাফল্যের প্রকৃত বিজ্ঞান সম্মত ব্যাখ্যা প্রাচীনপন্থী চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা ইমিউনোলজির জ্ঞানের অভাবে আজও অবগত হতে পারছেন না। শিকলে আবদ্ধ মহাশক্তিধর হস্তি যেমন তার নিজস্ব ক্ষমতা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল না থাকার কারণে শিকলের দুর্বল বন্ধনের কাছে নতিস্কীকার করে থাকে তেমনি প্রাচীনপন্থী চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা তাদের দীর্ঘদিন যাবত উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও রক্তশূন্যতা রোগে ব্যবহৃত ভিংকা রোজিয়া বা নয়নতারার মত প্রাকৃতিক ভেষজের ভিতর লুকানো ভিনক্রিষ্টিন ও ভিনব্লাষ্টিনের মত ব্লাডক্যান্সার আরোগ্যকারী এ্যালক্যালয়েডের সুসংবাদ না জানারা কারণে তাদের প্রচীন পরীক্ষালব্ধ (এমপিরিক্যাল) পদ্ধতির বিষয়ে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন । অন্যদিকে হোমিওপ্যাথরা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির দ্বারা রোগের মূল কারণ ইমিউনোলজিক্যাল ডিজঅর্ডারকে দুর না করে শুধুমাত্র কতিপয় লক্ষণকে দূর করে আর সব চিকিত্সা বিজ্ঞানের মতই কেবলমাত্র সাময়িক উপশমকারী (প্যালিয়েটিভ) চিকিত্সা দিয়ে আসছেন। আজ মানবজাতির এই দুর্দিনে প্রয়োজন আয়ুর্বেদ, ইউনানী ও হোমিওপ্যাথির অনুসারীদের ইমিউনোলজি তথা আধুনিক চিকিত্সা বিজ্ঞানের প্রকৃত জ্ঞানকে কাজে লাগানো । সেই উদ্দেশ্যে প্রাকৃতিক ভেষজের ব্যবহারকে শুধু রোগকষ্ট উপশমকারী বা প্যালিয়েটিভ পর্য্যায়ে সীমাবদ্ধ না রেখে উচিত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিষ্টেমের উত্পত্তিস্থল অস্থির দ্বারা আবৃত মজ্জাকে শক্তিশালীকরণ বা বোনম্যারো ষ্টিমুলেশন এর পদ্ধতিকে কার্যকর করে সুস্থ ও সবল রক্তকণিকা তৈরীর উপযোগী ইউরেনিয়াম এবং রেডিয়াম ধাতুর সুক্ষ্মমাত্রায় তৈরী হোমিও ঔষধের সাহায্য গ্রহণ করা । ভেষজ উপাদান কিংবা টীকায় ব্যবহৃত জীবাণুর মৃতদেহের মত এ্যাডজুভেন্ট বা সাহায্যকারীর চাইতে শক্তিশালী ভেজষ্ক্রিয় পদার্থের রোগ উত্পাদক শক্তিকে ব্যবহার করে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার নিষ্ক্রীয় থাকার জন্য দায়ী ইমিউন টলারেন্সকে ভেঙ্গে দিতে পারলেই সম্ভব হবে এইচ, এল, এ বা হিউম্যান লিউকোসাইট এ্যান্টিজেনের আড়ালে লুকানো রোগ সৃষ্টিকারী এ্যান্টিজেন বা রোগবিষ সমূহকে বিনা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় দেহ থেকে বিতাড়িত করা, অন্যথায় জীন গবেষণা যতই উন্নত হোক না কেন, জন্মগতভাবে প্রাপ্ত বা জেনটিক্যালি ইনহেরিটেড বিষাক্ত জিন বা এইচ, এল, এ’র প্রভাব থেকে মানবজাতি কোন দিনই সহজে মুক্তি পাবেনা।